মেট্রোরেল স্টেশন চালুর তালিকায় যুক্ত হলো আরও দুটি স্টেশন। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি উত্তরা সেন্টার স্টেশন ও ১ মার্চ মিরপুর ১০ নম্বর স্টেশন চালু হবে বলে জানিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে মেট্রোরেলের অফিসে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক। এমএএন ছিদ্দীক বলেন, আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে চালু হচ্ছে মেট্রোরেলের উত্তরা সেন্টার বা দুই নম্বর স্টেশন। এরপরের ধাপেই ১ মার্চ মিরপুর-১০ স্টেশন চালু হবে। আর অবশিষ্ট ৪টি স্টেশন আগামী ২৬ মার্চের মধ্যেই চালু হবে।
অন্য স্টেশনগুলো হলো: উত্তরা সাউথ, মিরপুর-১১, কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া। তিনি জানান, মেট্রোরেলের সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ সেবা পেতে আগামী জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। মেট্রোরেলের আয় সম্পর্কে ডিএমটিসিএল পরিচালক এমএএন ছিদ্দীক বলেন, গত ২৮ ডিসেম্বর চালুর পর এখন পর্যন্ত মেট্রোরেলে চলাচল করেছে সাড়ে চার লাখ যাত্রী যা থেকে আয় হয়েছে সাড়ে তিন কোটি টাকা।
গত ২৮ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে মেট্রোরেলের যুগে পা দেয় বাংলাদেশ। বহু অপেক্ষার পালা শেষ করে এদিন মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রেলের প্রথম যাত্রীও ছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরদিন সীমিত পরিসরে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শুধু উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে চলে মেট্রোরেল। পরে ২৫ জানুয়ারি পল্লবী স্টেশনেও থামা শুরু করে মেট্রোরেল।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে নেয়া মেট্রোরেল প্রকল্প এক দশক পর আংশিক চালু হয়েছে। চালু হওয়া মেট্রোরেল প্রকল্পটির নাম এমআরটি লাইন-৬। উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত এর দৈর্ঘ্য ২১ কিলোমিটারের বেশি। এর মধ্যে থাকছে ১৭টি স্টেশন। মেট্রোরেল নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। মেট্রোরেলের প্রথম পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হয় ২০২১ সালের আগস্টে। পরে ১৬ মাস পরীক্ষামূলক চলাচল শেষে ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল চালু হয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।